সফল ব্যক্তিরা করে এমন ১০০টি বিষয়: সফল জীবনযাপনের ছোট্ট অনুশীলন’ বইটি হাতে অনুবাদক বুশরা আমিন তুবা। ছবি: নূর, প্রিয়.কম।
সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা: অনুশীলন ৪৭- 'আপনাকে কী উদ্বুদ্ধ করে তা খুঁজে বের করুন'
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৪২
(প্রিয়.কম) প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য রয়েছে আমাদের এ নতুন আয়োজন। এখানে 'দ্য সিল্ক রোড পার্টনারশিপ' এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাইজেল কাম্বারল্যান্ড লিখিত একটি বইয়ের সাথে আপনাদের পরিচয় করানো হবে। বইটির শিরোনাম, 'হান্ড্রেড থিংস সাকসেসফুল পিপল ডু: লিটল এক্সারসাইজেস ফর সাকসেসফুল লিভিং’। এবং আমরা বইটি অনুবাদ করছি "সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা" শিরোনামে। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিদিন এই বই থেকে একটি করে বিষয় আলোচনা করা হবে।আজকের আয়োজনে জেনে নিন সফল ব্যক্তিদের করা ৪৭ নম্বর বিষয়টি সম্পর্কে।
অনুশীলন ৪৭- 'আবিষ্কার করুন যা আপনাকে উদ্বুদ্ধ করে'
মানুষ মাত্রই একটা স্বভাব ধারণ করে, তা হলো নিজের ব্যবহারের মাধ্যমে কিছু একটা প্রমাণ করা এবং নিজেকে জাহির করা। প্রয়োজনটা হয়তো এখন লুকায়িত থাকতে পারে কিন্তু তত্ত্বটি সঠিক।
নিজের ব্যাপারগুলোর ধারণা মনে আসতেই পারে-
*পরিবারের বড় সন্তান সকল ক্ষেত্রেই একটু এগিয়ে থাকতে চান এবং আকর্ষণের মধ্যমণি হতে চান।
*পরিবারের ছোট সন্তানের বাবা-মায়ের সাপোর্ট দরকার সবচেয়ে বেশি। তারা সাধারণত লক্ষ্যমুখী কম হয়ে থাকেন।
*কিছু কিছু ছোট বাচ্চা বাবা-মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের দ্বারা তাড়িত হয় সুনাম অর্জনের আশায়।
*অনেকে আবার ছোট থেকেই খুব সীমাবদ্ধতার মধ্যে বড় হয় এজন্য তাদের চাহিদাও থাকে খুব সামান্য।
আপনি হয়তো এমন মানুষ দেখেছেন যারা জাগতিক সম্পদের পেছনে এতো ছুটতে থাকেন যে তারা এক সময় অসার হয়ে যান। আবার অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পর্ক কিংবা অপছন্দের চাকরী করতে করতে নিজেকে 'বেচারা' কিংবা 'দুর্বল' রুপে প্রমাণিত করেন।
ছোটবেলার কোন অভিজ্ঞতা আপনাকে আজও তাড়িত করে? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো খুব কঠিন কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখুন তো। ছোটবেলার চাহিদাগুলোই আজ আপনাকে অনন্য করে তুলতে পারে, জেনে রাখবেন।
কোন জিনিসটা সত্যিই আপনাকে তাড়িত করছে?
আপনি আসলে কেমন সেটি জানার ও বোঝার সময় চলে এসেছে। আপনি আজ কেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী? এতে আপনার পরিবারের কোন অবদান আছে কী? পরিবারের বড়, মেঝো কিংবা ছোট সন্তান হিসেবে আপনার দায়িত্ব কি?
আপনাকে কোন জিনিসটি জাগিয়ে রাখে, সেটা বড় কথা না যতোক্ষণ আপনার চোখ খোলা আছে। আপনার চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো অনুধাবন করতে শিখুন। অতীতকে কোনভাবে দোষারোপ না করে ভবিষ্যত নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন।
অকাজের সবকিছু এড়িয়ে চলুন
আপনি আপনার যাত্রাপথ নিয়ে যদি সন্তুষ্ট থাকেন, সেটি ঠিক আছে। কিন্তু যদি সন্তুষ্ট না হয়ে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন বদলে যাওয়ার পথে যাত্রা। নিচের চিন্তাগুলো আপনি করতে পারেন।
* আপনি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছেন যে আপনার বাবা-মা খুব বেশি কঠোর ও নিয়মানুবর্তি। হয়তো আপনার সব সময় নিয়ম মেনে চলতে ভালো লাগতো না। এখন যখন আপনি বাবা-মা হবেন, আপনি কি চক্রাকারে তেমনই থাকবেন না নিজেকে বদলাবেন? একটু ভেবে দেখুন।
* আপনি এমন একজন মানুষ যিনি কখনো 'না' বলেন না। মানুষ যে কাজই করতে বলে, তা-ই আপনি স্বচ্ছন্দে করতে রাজি হয়ে যান। একবার একটু ভেবে দেখুন, আপনি কি সত্যিই সঠিক পথে হাটছেন?
সম্পাদনা: কে এন দেয়া