কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শেরপুরের নাকুগাঁও স্থল বন্দর এলাকা। ছবি: সংগৃহীত

নাকুগাঁও বন্দরে কয়লা আমদানি বন্ধ: ২ হাজার শ্রমিক বেকার

সানী ইসলাম
কন্ট্রিবিউটর, শেরপুর
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৫
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৫

(প্রিয়.কম) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থল বন্দর দিয়ে তিন-চার মাস ধরে ভারত থেকে কয়লা ও পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। ভারত থেকে কয়লা ও পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় বন্দরের প্রায় ২ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। কাজ না থাকায় অধিকাংশ শ্রমিকদের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

নাকুগাঁও বন্দর লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়ন ও নাকুগাও কাস্টম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় নাকুগাঁও স্থল বন্দরটি ২০১৫ সালে ১৮ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে ঘোষণা দেয় সরকার। এই বন্দরে শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক রয়েছে ৮০০ জন। এ ছাড়া দিন হিসেবে কাজ করেন আরও প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন শ্রমিক। এদের মধ্যে প্রায় ১ হাজারের উপরে নারী শ্রমিক রয়েছে। এই বন্দরে কাজ করে একজন শ্রমিক প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে পান। এই আয়ে তাদের সংসার চলত। কিন্ত সম্প্রতি ভারতের শিলং এর একটি পরিবেশবাদী সংগঠন ভারতীয় পরিবেশ আদালত ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে (এনজিটি) কয়লা উত্তোলন বন্ধে একটি রিট দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে ভারতের পরিবেশ বিষয়ক ওই আদালত অস্থায়ীভাবে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন ও স্থানান্তর করা বন্ধের নির্দেশ দেন। এতে ভারত থেকে কয়লা এবং পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কাজ না থাকায় বন্দরের শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন।

শেরপুরের নাকুগাঁও বন্দর। ছবি: সংগৃহীত

সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্দরটি চারপাশ ফাকা পড়ে আছে। প্রায় সকল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বন্দরে কাজ না থাকায় অনেকেই ভোগাই নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। বন্দরে কাজ না থাকায় বন্দর সংলগ্ন চা দোকানগুলোতে শ্রমিকরা বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

নাকুগাঁও লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো.হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই বন্দরের উপর নির্ভর কইরা ২ হাজার শ্রমিকের সংসার চলে। এই ভরা মৌসুমে কাম নাই। আমরা চাই একটা সমঝোতার মাধ্যমে বন্দরডা চালু অউক।’

নাকুগাঁও আমদানি রপ্তানি কারক সমিতির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমাদের পার্শ্ববর্তী কামালপুর ও রৌমারী বন্দরে যে নিয়মে ব্যবসায়ীরা কয়লা পাথর আমদানি করতে পারে, এখানকার ব্যবসায়ীরা তা পারে না। কাস্টমস অফিসের অসহযোগিতা রয়েছে। এভাবে ব্যবসা হবে না যেনেই ব্যবসায়ীরা আমদানি করছে না।

জেলা কাস্টম, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অফিসের সহকারি কমিশনার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা ও পাথর আমদানির পাশাপাশি অন্যান্য নতুন পণ্য আমদানি করতে রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ভুটানের সঙ্গে এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হলে এবং ভারতের আভ্যন্তরীণ সৃষ্ট সমস্যা সমাধান হলে অচিরেই এ বন্দরে আবারও কর্মতৎপরতা শুরু হবে। সেই সঙ্গে বন্দরের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশা করি।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল