কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

রিজার্ভ চুরি: রাজসাক্ষী হবেন মায়া!

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০১৬, ০৮:৪২
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৬, ০৮:৪২

ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনার রাজসাক্ষী হতে পারেন ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গে ওঠে এসেছে এমন তথ্য।

ব্লুমবার্গ বলছে, অপরাধীদের ধরিয়ে দিতেও রাজসাক্ষীর ভূমিকা পালন করতে পারেন তিনি। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে মায়ার আইনজীবী ফার্দিনান্দ টোপাকিও জানিয়েছেন ফিলিপিন্স সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাইতে পারে মায়া। তিনি জানান, ফিলিপিন্স সরকারকে ঘটনার শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সাহায্য করতে চান মায়া।

মায়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনে যাওয়ার পর এ অর্থ বাংলাদেশের অনুরোধের পরও ছাড় করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ফাডিনান্ড তোপাসিও বলেন, দেশের প্রচলিত সাক্ষি সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, ‘গুরুত্বপূর্ণ কোনো মামলায় আদালতে কিংবা তদন্ত সংস্থার সামনে কোনো নাগরিক সাক্ষ্য দিলে তাকে আইনি জটিলতায় ফেলা যাবে না। রাজসাক্ষি হলে তার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগও তুলে নেবে রাষ্ট্র।’ 

তিনি বলেন, ‘আমার মক্কেল সিনেট কমিটির শুনানিতে রিজার্ভ চুরি নিয়ে বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন। আমরা এ নিয়ে সহযোগিতা দিতে চাই যাতে সরকার কলঙ্কিত এ অধ্যায়ের পুরোটা উদঘাটন করতে পারে। রিজার্ভ চুরির গ্র্যান্ড কনসপিরেসির সঙ্গে আমার মক্কেলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

দেগুইতোর আইনজীবী আরো বলেন, ‘সিনেট কমিটির শুনানিতে আমার মক্কেলের বক্তব্যের সূত্র ধরেই তদন্ত কমিটি ইতিহাসের বড় এ জালিয়াতিতে জড়িতদের চিহ্নিত করতে পেরেছে। এজন্য সিনেট কমিটির সদস্যরা আমার মক্কেলকে তদন্তে ‘নির্ভরযোগ্য সাক্ষী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।’ 

এদিকে, রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ব্যবসায়ী কিম অং এবং ওয়েকাং জু'র বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে দেশটির বিচার বিভাগ।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। ওই টাকার ৮১ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের জুপিটার শাখায় ব্যবসায়ী কিম অংয়ের অ্যাকাউন্টে।

ব্যাংক জালিয়াতির ইতিহাসে বড় এ লোপাটের বাকি ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠানো হয় শ্রীলংকার সেচ্ছাসেবী সংগঠন শাকিলা ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে। প্রাপকসংস্থার নামের বানানে ভুল থাকায় পেমেন্ট আটকে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: সময় টিভি