কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

রিজার্ভ চুরি: ফিলরেমের লাইসেন্স বাতিল

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ০২ জুন ২০১৬, ০৬:১১
আপডেট: ০২ জুন ২০১৬, ০৬:১১

ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে সহায়তার অভিযোগে রেমিটেন্স কোম্পানি ফিলরেম সার্ভিস করপোরেশনের লাইসেন্স বাতিল করেছে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল ফিলিপাইনের অর্থ পাচারবিরোধী অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলার লোপাটের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ফিলরেমকে অভিযুক্ত করে। 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা ৯৫১ মিলিয়ন ডলার চুরির চেষ্টা করে। পরে বেশ কিছু পেমেন্ট বন্ধ করে দিয়ে বেশিরভাগ অর্থচুরি ঠেকানো গেলেও ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে সক্ষম হয় হ্যাকাররা। এরমধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ফিলিপাইনে স্থানান্তরে সক্ষম হয় তারা।

তবে, ফিলরেম এ অর্থ কেলেংকারীর সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুইফট মেসেজ পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় ১০ কোটি ডলার সরানো হয়। এর মধ্যে আরসিবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে প্রবেশ করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট মেসেজিং প্ল্যাটফরমের সঙ্গে নতুন ট্রানজেকশন সিস্টেম যুক্ত করার সময় সুইফটের টেকনিশিয়ানদের অবহেলার কারণেই হ্যাকাররা সাইবার আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিআইডি।

তবে সিআইডি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক মাধ্যম সুইফট।

১৫ মার্চ অর্থ চুরি যাওয়ার ৪০দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়।