কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

রিজার্ভ চুরি: জামিনে মুক্তি পেলেন মায়া

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০১৬, ১১:০১
আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৬, ১১:০১

ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংকের জুপিটার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টা পরই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা চুরির পর পাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার ম্যানিলার একটি সুপারমার্কেট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

এরপর বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় 'পাসায় সিটি রিজিওনাল ট্রায়াল কোর্টে'র বিচারক রেমিয়েবেল বুয়েন্দিয়া, দেগুইতোর জামিনের আদেশ দেন। তবে জামিনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় পুলিশি হেফাজতে থাকেন তিনি।

পরে শপথ ভঙ্গের জরিমানা বাবদ ৬ হাজার ফিলিপিন্স পেসো পরিশোধের পর রাত ১ টার পর তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া অর্থ পাচারের ঘটনায় ব্যাংকের নীতিমালা ভঙ্গ ও ভুয়া নথি তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন আরসিবিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জ তান।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে অজ্ঞাতপরিচয় হ্যাকাররা ভুয়া ট্রান্সফার ব্যবহার করে নিউ ইয়র্ক ফেডালের রিজার্ভ থেকে সুইফটের মাধ্যমে ওই অর্থ হাতিয়ে নেয়। ওই অর্থ পরে ফিলিপাইনে পাচার করা হয়।

এর আগে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সেখানকার রিজাল ব্যাংককে দুই কোটি ১০ লাখ ডলার জরিমানা করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে বলেছে, এটিই তাদের সবচেয়ে বড় ধরনের জরিমানার ঘটনা।

অন্যদিকে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) বলেছে, তারা এক বছর সময়সীমার মধ্যেই জরিমানার টাকা পরিশোধ করবে।

নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে বাংলাদেশের জমা করা আট কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা রিজাল ব্যাংককেই চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করেছিল।

রিজার্ভ চুরির ঘটনার পটভূমিতে পদত্যাগে করেন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান।