কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

রিজার্ভ চুরি: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মামলা, তদন্তে সিআইডি

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০১৬, ১১:৫১
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৬, ১১:৫১

(প্রিয়.কম) হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থ লোপাটের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মামলাটি তদন্ত করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে এই মামলা করেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক সাংবাদিকদের জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৩। তবে আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং আইনের মামলাগুলোর তদন্ত সাধারণত সিআইডি করে থাকে। এ মামলার তদন্তও তারা করবে। আমরা মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করেছি। সিআইডি থেকে এখন তদন্ত কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হবে। 

এর মধ্যে রিজার্ভের অর্থ লোপাটের ঘটনায় গোপন করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনা ও ক্ষোভপ্রকাশের মুখে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন গভর্নর আতিউর রহমান।

তার পদত্যাগের ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে সাবেক অর্থ সচিব ফজলে কবিরকে নতুন গভর্নর করার কথা সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান মুহিত।

পাশপাশি ঘটনা তদন্তে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে, যাতে প্রাথমিকভাবে তিন সদস্য রাখার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

ফিলিপিন্সের ডেইলি ইনকোয়ারারে ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার লোপাটের খবর এলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে।

তদন্তে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে হ্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ ফিলিপিন্সের একটি ব্যাংকে সরিয়ে ফেলা হয়।

শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে আরও ২০ মিলিয়ন ডলার সরানো হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতেই বিষয়টি টের পেলেও কর্মকর্তারা তা গোপন করে যাওয়ায় অর্থমন্ত্রী মুহিতকে এক মাস পর তা পত্রিকা পড়ে জানতে হয়।

অর্থ লোপাটের বিষয়টি চেপে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেভাবে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাকে ‘অযোগ্যতা’ আখ্যায়িত করে ‘ক্ষুব্ধ’ মুহিত রোববার বলেছিলেন, এই ‘স্পর্ধার’ জন্য ‘অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।