কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলি। সংগৃহীত ছবি

রাবি শিক্ষক আত্মহত্যা: অধ্যাপক আতিকুর রহমান গ্রেফতার

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০১৬, ১১:৪৫
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৬, ১১:৪৫

আকতার জাহানের ফাইল ছবি

আরিফুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
(প্রিয় ক্যাম্পাস) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আকতার জাহান জলির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া সহকর্মী আতিকুর রহামন রাজাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। প্রায় দুই দিন গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার বিকেলে আকতার জাহানের আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানাগেছে।
 
মতিহার থানার ওসি হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আকতার জাহানের মৃত্যু ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাকে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে নগরীর তালাইমারী এলাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য নেওয়া হয়।
আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। শিক্ষক আকতার জাহানের সঙ্গে আতিকুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। আর এই সূত্র ধরে আকতার জাহানের মুঠোফোনের কল রেকর্ড চেক করে আতিকুর রহমানকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়। শিক্ষক আকতার জাহানের সঙ্গে আতিকুর রহমান নিয়মিত যোগাযোগ করতেন বলেও পুলিশের এক সূত্র জানায়।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আল আমিন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে নগরীর তালাইমারী এলাকা থেকে আকতার জাহান জলির অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। আকতার জাহানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে তার জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। বিকেলে আকতার জাহানের আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলায় আতিকুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত আত্মহত্যা প্ররোচনায় শুধুমাত্র আতিকুর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তার সাবেক স্বামীর বিষয়ে মুঠোফোনসহ বিভিন্ন খোঁজখবর করা হয়েছে কিন্তু তার সংশ্লিষ্টতা এ ঘটনায় পাওয়া যায়নি।’
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুবেরী ভবনে নিজ কক্ষ থেকে আকতার জাহানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার কক্ষ থেকে ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে অজ্ঞাতনামাদের নামে নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন আকতার জাহানের ছোটো ভাই কামরুল হাসান। ময়নাতদন্তের পরে পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আকতার জাহানকে তার সাবেক স্বামী তানভীর আহমদ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেন বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় ও ফেসবুকে অভিযোগ ওঠে। এমনকি বিভাগের শিক্ষকরাও তার বিরুদ্ধে আকতার জাহানকে নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত সাবেক স্বামী তানভীরের সম্পৃক্ততা পায়নি।

এ সংক্রান্ত আরও খবর

প্রিয় সংবাদ/কেএ/টিআর/জাইজ