কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আক্তার জাহান জলির ফাইল ছবি

রাবি অধ্যাপকের মৃত্যু: বিভাগ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার সাবেক স্বামীর

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৫:০৭
আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৫:০৭

আরিফুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

(প্রিয় ক্যাম্পাস) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের আত্মহত্যার ঘটনায় তার সাবেক স্বামী ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এবং শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে তিনি বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানাযায়।

বিভাগ সূত্রে  জানা যায়, আকতার জাহানের সাবেক স্বামী ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমদ যদি বিভাগের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তবে বিভাগের অনেক শিক্ষক বিভাগের কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবেন এমনটি উল্লেখ করে বিভাগের সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তানভীর আহমদ বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে নিজেকে প্রত্যাহার করার প্রস্তাব দেন। পরে বিভাগের বিষয়টি সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি থেকে আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিভাগের সভাপতির কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আকতার জাহানের অকালমৃত্যুকে সামনে রেখে এ সভা থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় আকতার জাহানের নামে বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিটির নামকরণ, বিভাগের সামনে তার নামে ‘আকতার জাহান কর্নার’ স্থাপন এবং একটি শোকবই খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এছাড়া আগামী রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বিভাগের সামনে থেকে শোকর‌্যালি, ওইদিনই বেলা ১২টায় বিভাগের ১২৩ নং কক্ষে শোকসভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এ দিন বিভাগের ক্লাস বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া আগামীকাল ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত তিনদিন বিভাগে কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। 

সভায় আকতার জাহানের মৃত্যু ও মৃত্যুসংশ্লিষ্ট বিষয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমে বিভাগ সম্পর্কিত যেসব বিষয় উঠে এসেছে তা তদন্ত করে দেখার জন্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি চিঠি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।

 

আরও জানা যায়, আকতার জাহানের মৃত্যুর পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার’ অভিযোগে মতিহার থানায় যে মামলা করা হয়েছে তা তদারকি করার জন্য বিভাগের সভাপতিকে আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ, কাজী মামুন হায়দার ও আব্দুল্লাহীল বাকীকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নিয়মিতভাবে মামলার অগ্রগতি বিভাগকে অবহিত করবে।

এর আগে সভার শুরুতেই আকতার জাহানের অকালমৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় এবং পরিবারকে সমবেদনা প্রকাশসহ তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ক্লাব জুবেরী ভবনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলির নিজ কক্ষ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেন পুলিশ।

ময়নাতদন্তের পরে পরিবারের কাছে আকতার জাহান জলির লাশ হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয় বলে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। পরে জলির ছোট ভাই কামরুল হাসান রতন আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা দায়ের করেন।

প্রিয় সংবাদ/কেএ/এনএইচএস